Delivery Charge:
From Office Area to All Bangladesh (1-8 Shipping Days)
    Delivery Charge: 120
Return & Warranty:
00 Days Returns
Not ApplicableDescription :
রাম রঙ্গন চাইনিজ কমলা গাছের চারা
(প্রতিটি চারার গড় উচ্চতা ২-৩ ফিট, চায়না জাতের, কলম থেকে উৎপাদিত)
পরিচিতিঃ
উচ্চ ফলনশীল চাইনিজ (রাম রঙ্গন) ছোট জাতের এই ভ্যারাইটির কমলা খেতে দারুন মিষ্টি হয়। ছাদ বাগানের জন্য একটি আদর্শ ভ্যারাইটি। এক থোকায় একাধিক ফল ধরে। এই গাছটি ছাদে এবং গ্রাউন্ডে উভয় জায়গায় সমান ফলন দিতে সক্ষম। লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। চাইনিজ মিষ্টি কমলা সুস্বাদু, সুগন্ধি এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় সর্দিজ্বর ও বমি নিবারক। কমলার শুকানো ছাল অম্লরোগসহ ও শারীরিক দুর্বলতা নিরসনে কাজ করে। কমলা দিয়ে জ্যাম, জেলি, জুস তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মিষ্টি চাইনিজ কমলার চাষ ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
জমি তৈরিঃ
কমলা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে এমন জমি যে জমিতে সারাদিন রোদ থাকে, বৃষ্টির পানি জমেনা, বর্ষার পানি উঠেনা। ভালভাবে জমির আগাছা পরিস্কার করতে হবে। সমতল ভুমি হলে দু-থেকে তিনটি চাষ ও মই দিতে হবে এবং পাহাড়ি জমি হলে কোদালের মাধ্যমে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি তৈরি হয়ে গেলে উভয় দিকে ১২ ফিট দুরত্বে ৬০x৬০x৬০ সে.মি আকারে গর্ত তৈরি করতে হবে। বর্ষার আগে গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখতে হবে। প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম করে ইউরিয়া, এমওপি, ওটিএসপি এবং ৫০০গ্রাম চুন দিতে হবে। চারা রোপন করার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে।
চারা তৈরিঃ
বীজ ও কলমের মাধ্যমে কমলার বংশবিস্তার হয়/চারা পাওয়া যায়। কলমের চারার জন্য যৌন ও অযৌন পদ্ধতির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হয়। কমলার একটি বীজ থেকে একাধিক চারা পাওয়া যায়। তবে বীজের চারা আমাদের দেশের আবহাওয়া ও মাটির সাথে সমন্বয় করে বেশি দিন বাঁচতে পারে না। বীজ থেকে গাছ হলেও ফল দিতে অনেক দেরি করে থাকে। ফল আকারে ছোট ও টক স্বাদের হয়ে থাকে। তাই কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করা উত্তম। তুলনামুলকভাবে অযৌন সতেজ ও মোটা চারায় গুটি কলম, জোড়া কলম, চোখ কলমের মাধ্যমে অযৌন চারা উৎপাদন করা যায়।
এছাড়া কলমের মাধ্যমে চাড়া উৎপাদন করলে চারা গুলো সবল ও মাতৃগাছের গুনাগুন বজায় থাকে। চারা গাছে দ্রুত ফল ধরে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধী ও বেশি শিকড় সমৃদ্ধ জোড়ের মাধ্যমে কলম করলে গাছের জীবনকাল ও ফলন অধিক হারে বৃদ্ধি পায়। কমলা চাষের জন্য অযৌন চারাই উত্তম।
চারা রোপণঃ
চারা রোপণের সময় প্রতি গর্তে ১২-১৫ দিন আগে নির্ধারিত হারে সার মাটির সাথে কোদাল দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। কমলার চারা রোপণের জন্য মে থেকে জুন মাস উপযুক্ত সময়। তবে সেচের ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর কমলার চারা রোপণ করা যেতে পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে যে- চারাটি যেন গর্তের মাঝখানে থাকে। কলমের চারার গোড়ার মাটি যেন সামান্য উঁচু থাকে সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
পরিচর্যাঃ
চারা অবস্থায় কমলা গাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। চারা গাছ রোপণের পর যখন নতুন পাতা গজাবে তখন বুঝতে হবে চারা গাছের খাদ্য দিতে হবে। অল্প অল্প করে টিএসপি, এমওপি, ইউরিয়া সার গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম দিতে হবে। চারা রোপনের বয়স যখন ৬ মাস হবে তখন জৈব সার দিতে হবে। বাগানের মাটি কুপিয়ে আগলা করে দিতে হবে । গোড়া থেকে জন্মানো অতিরিক্ত শাখা গজানোর সাথে সাথে কেটে ফেলতে হবে। চারা গাছের নীচের দিকে ছেটে রাখতে হবে। দেড় ফুট উপর থেকে কান্ডের উৎপাদনশীল শাখা বাড়তে দিতে হবে। গাছে মরা ও রোগাক্রান্ত ডালপালা ছেটে দিতে হবে। গাছের গঠন ছোট থেকে সুন্দর ও শক্ত করে তুলতে হবে। কমলা গাছের উপরের দিকের ডাল-পালা কেটে দিয়ে গাছ ঝাপড়া করতে হবে। এতে করে চাইনিজ কমলা গাছে বেশি ফল আসবে, ফলনও বেশি পাওয়া যাবে। আগাছা থাকলে গাছের বেশ ক্ষতি হয়ে থাকে। গাছের গোড়ায় যেন আগাছা জন্মাতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। গাছের উপর পরগাছা থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে।
ফল সংগ্রহঃ
চাইনিজ মিষ্টি কমলা পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে রং বদলাতে শুরু করে। রং যখন হলদে লাল হয়ে যায় তখন ফল পাকে। গাছে চাইনিজ মিষ্টি কমলা ভালভাবে পাকার পর সংগ্রহ করলে ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়।
ফলনঃ
চাইনিজ কমলা দু-বছর বয়স থেকে গাছে ফুল আসতে থাকে। প্রথম বার ফুল আসা থেকেই গাছে ফল ধরে থাকে। ফল পরিপক্ক হতে সময় লাগে ৬ মাস। গাছের বয়স যখন আড়াই বছর হয় তখন একটা গাছ থেকে ৪০-৪৫ কেজি ফল পাওয়া যায় এবং প্রতি বছর ফলন বাড়তে থাকে। একটি পূর্ণ বয়স্ক কমলা গাছ থেকে ৮০-১০০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বেশি বয়স্ক একটি গাছ থেকে ২০০-২৫০ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। একটি গাছ সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে।
তথ্য ও সূত্রঃ অনলাইন সংগ্রহ।